এমসি কলেজ প্রতিনিধি ::দীর্ঘ প্রতিক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে এমসি কলেজের শিক্ষার্থীদের নিরাপদ রাস্তা পারাপারের স্বার্থে কলেজের উভয় ফটকের সামনে দিয়ে চলা ব্যস্ততম সড়কের ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে গতিরোধক স্থাপিত হতে যাচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার কলেজের উভয় ফটকের সামনে ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে শক্তিশালী গতিরোধক অথবা ফুটওভার ব্রীজ স্থাপনের দাবীতে কলেজের প্রধান ফটকের সামনে কলেজের বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজেনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করে। এসময় প্রায় এক ঘন্টা তামাবিল সড়ক অবরোধ করে উভয়দিকের যান চলাচল বন্ধ করে দেয় শিক্ষার্থীরা।দীর্ঘদিন থেকে দাবী করে আশা শিক্ষার্থীরা শেষপর্যন্ত রাস্তায় নেমে দাবী আদায়ে “জীবনের নিরাপত্তা চাই,দিতে হবে দিতে হবে”,” কলেজ গেটের সামনে,স্পীডবেকার দিতে হবে”,”আমাদের দাবী আমাদের দাবী, মানতে হবে মানতে হবে ” ইত্যাদি স্লোগানে দিতে থাকেন। দীর্ঘক্ষণ যান চলাচল বন্ধ থাকায় এসময় টিলাগড়-তামাবিল সড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এসময় শিক্ষার্থীদের এই তীব্র আন্দোলনের ক্ষোভে কলেজের উপাধ্যক্ষ মোঃ সালেহ আহমেদ ও কলেজের কিছু সংখ্যক শিক্ষক সহ মানববন্ধন স্থল পরিদর্শন করেন সিলেট উপ- বিভাগীয় প্রকৌশলী নুরুল মজিদ চৌধুরী। এসময় তিনি শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বিষয়ে আশ্বস্ত করেন এবং আগামী ১৫ দিনের মধ্যে কলেজ ফটকের সামনের রাস্তায় গতিরোধক নির্মাণ করা হবে বলে ঘোষণা দেন।শিক্ষার্থীরা তার কথায় আশ্বস্ত হলেও হুশিয়ারি দিয়ে বলেন,যদি বিগত দিনের মত টালবাহানার আশ্বাস হয়ে থাকে তাহলে শিক্ষার্থীরা আরো কঠিন কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে। প্রকৌশলীর দেওয়া ঘোষণাটি বাস্তবায়িত হলে এমসি কলেজ শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের একটি দাবী পূরণ হবে। যার ফলে এমসির প্রায় ১৪ হাজার শিক্ষার্থীসহ দর্শনার্থী ও অন্যান্য কলেজ হতে আগত পরিক্ষার্থীদের অনেকটা নিরাপদেই কলেজ যাতায়াত করতে পারবে বলে অনেকে মনে করছেন। শিক্ষার্থীরা জানান কলেজের উভয় ফটকে বিগত ২০০৬-০৭ এর দিকে একটি,২০০৯ এ একটি ও ২০১১ এর দিকে একটি দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাতে হয়েছে ৩/৪ জনের।তাছাড়া পংগু হয়েছেন অনেকেই। যার ধরুন দীর্ঘদিন থেকেই দাবী করে আসলেও বিভিন্ন অজুহাতে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ আশ্বাস দিয়েও কাজ করেননি। তবে এবার আর বিলম্ব হবে না বলে ধারণা তাদের